যমজ শিশুদের কিছু- যমজ সন্তানের মায়েদের উপর গবেষণা চালিয়ে ‘জার্নাল অব রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, যে সব মহিলাদের উচ্চতা বেশি তাদের যমজ সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনাও বেশি! আমাদের শরীরের বেড়ে ওঠার জন্য কিছু বিশেষ বিষয় কাজ করে, যেগুলোকে ‘গ্রোথ-ফ্যাক্টর’ বলা হয়, যে বিষয়গুলির একটি হচ্ছে ইনসুলিন নামের এক বিশেষ ধরণের প্রোটিন।
এই ইনসুলিন বোন সেল (Bon cells)-এর বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে একই সঙ্গে মেয়েদের লম্বা হবার প্রবণতা ও যমজ সন্তান জন্মদানের বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রিত করে। যমজদের ব্যাপারে আরও কিছু চমকপ্রদ তথ্য বের হয়ে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়।
নিচে বিডি২৪লাইভের পাঠকদের জন্য এমন কিছু তথ্য তুলে ধরা হল।
১. একই ধরণের চেহারার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও যমজদের মধ্যে আচরণগত ভিন্নতা থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় ‘আইডেন্টিক্যাল টুইন’ বলে একটা কথা আছে। যে সব যমজের দেখতে হুবহু একই রকম, তাদের ক্ষেত্রেই ‘আইডেন্টিক্যাল টুইন’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এদের শরীরে একই ধরণের জিন বহন করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের আচরণ সম্পূর্ণ আলাদা।
গবেষকদের মতে, একই চেহারার যমজদের আচরণগত পরিবর্তনের জন্য তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দায়ী হতে পারে। পরিবেশের কারণে, এই যমজদের শরীরে থাকা জিন-এ কিছু পরিবর্তন চলে আসে। যার ফলে যমজদের আচরণ আলাদা হয়ে যায়।
২. অনেকেই যমজ বাচ্চাদের একই ধরণের নাম রাখেন। আর এ কাজটির ফলে শিশুদের নাম শেখানো কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ তারা উভয়েই একই ধরণের নামে সাড়া দিতে চায়। আর এ বিষয়টি সহজ করা যাবে যদি তাদের নাম সম্পূর্ণ ভিন্নধরনের রাখা হয়।
৩. সাধারণ মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হুবহু একই চেহারার যমজদের আলাদা করতে পারেন না। কিন্তু প্রশিক্ষিত কুকুরদের জন্য এটা তেমন কোনও ব্যাপারই নয়। তারা শরীরের গন্ধ শুঁকে একই চেহারার ভিন্ন চেহারার যমজদের আলাদা করে চিনতে পারে। ব্যাপারটা বেশ মজার, তাই না!
৪. সাম্প্রতিককালে যমজ সন্তান জন্মের হার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ১৯৮০ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এই বৃদ্ধির হার ৭৬ শতাংশ। ১৯৮০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সদ্যভূমিষ্ঠ প্রতি ৫৩ শিশুর মধ্যে একজন যমজ হত। ২০০৯ সালের হিসেবে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ৩০ জনে একজন। এর কারণ কি?
গবেষকদের মতে, প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বর্তমান বিভিন্ন চিকিৎসা প্রচেষ্টা অধিক ব্যবহার। একই সঙ্গে ত্রিশোর্ধ মহিলাদের মধ্যেও দিন দিন যমজ সন্তান জন্মদানের প্রবণতা বাড়ছে।
৫. আপাত ভাবে দেখতে অনেক যমজ প্রায় একই রকম হলেও তাদের হাতের রেখায় পার্থক্য থাকে। সেই সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপও আলাদা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় অবস্থানগত সামান্য ভিন্নতা জন্মের পর যমজদের বিভিন্ন সূক্ষ্ম দৈহিক পার্থক্যের কারণ হতে পারে।